রসায়ন পরীক্ষাগারে বস্তুর ওজন পরিমাপ করার জন্য ডিজিটাল পর্দা সম্বলিত যেসব ইলেকট্রনিক ব্যালেন্স ব্যবহার করা হয় তাদেরকে ডিজিটাল ব্যালেন্স বলে। ডিজিটাল ব্যালেন্সের ডিজিটাল পর্দায় বস্তুর ওজন ভেসে উঠে। রসায়ন পরীক্ষাগারে দুই ধরনের ডিজিটাল ব্যালেন্স ব্যবহার করা হয়। 2-ডিজিট ব্যালেন্স ও 4-ডিজিট ব্যালেন্স।
2-ডিজিট ব্যালেন্সঃ যে ইলেকট্রনিক ডিজিটাল ব্যালেন্সে কোনো রাসায়নিক বস্তুর ভর এক গ্রামের দশমিক দ্বিতীয় স্থান (0.01 g) পর্যন্ত সঠিকভাবে ওজন করা সম্ভব হয়, তাকে 2-ডিজিট ব্যালেন্স বলা হয়। সাধারণত সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থের ওজন করার জন্য 2-ডিজিট ব্যালেন্স ব্যবহার করা হয়। পূর্বে ব্যবহৃত রাফ ব্যালেন্সের স্থলে বর্তমানে 2-ডিজিট ব্যালেন্স ব্যবহৃত হয়।
4-ডিজিট ব্যালেন্সঃ যে ইলেকট্রনিক ডিজিটাল ব্যালেন্সে কোনো প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থের ভর এক গ্রামের দশমিক চতুর্থ স্থান (0.0001 g) পর্যন্ত সঠিকভাবে ওজন করা সম্ভব হয়, তাকে 4-ডিজিট ব্যালেন্স বলা হয়। 4-ডিজিট ব্যালেন্স খুব সংবেদনশীল বা sensitive হওয়ায় রাসায়নিক বিশ্লেষণীয় কাজে ব্যবহৃত প্রমাণ দ্রবণ তৈরিতে সংশ্লিষ্ট পদার্থের সঠিক ওজন নিতে 4-ডিজিট ব্যালেন্স ব্যবহার করা হয়।
ব্যবহারের ক্ষেত্রঃ 2-ডিজিট ব্যালেন্স দ্বারা 1g এর ভাগে এক ভাগ অর্থাৎ 0.01g ভর পর্যন্ত সঠিকভাবে মাপা যায়। কিন্তু 4-ডিজিট ব্যালেন্স দ্বারা 1g এর ভাগে এক ভাগ অর্থাৎ 0.0001g ভর পর্যন্ত সঠিকভাবে মাপা যায়। পূর্বে ব্যবহৃত রাফ ব্যালেন্সের স্থলে 2-ডিজিট ব্যালেন্স ম্যাক্রো ও সেমি মাইক্রো গুণগত বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে প্রয়োজনীয় বিকারক প্রস্তুতিতে বস্তুর ভর পরিমাপে ব্যবহৃত হয়। যেমন- কস্টিক সোডা পিলেট, অক্সালিক এসিড ইত্যাদি।
অপরদিকে, 4-ডিজিট ব্যালেন্স সেমি মাইক্রো ও মাইক্রো গুণগত ও ভরভিত্তিক আয়তনিক বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে প্রয়োজনীয় প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থের প্রমাণ দ্রবণ প্রস্তুতিতে বস্তুর ভর পরিমাপে ব্যবহৃত হয়। যেমন- অক্সালিক এসিড ,পটাসিয়াম ডাইক্রোমেট ,সোডিয়াম থায়োসালফেট ইত্যাদি।
আরও দেখুন...